সাতক্ষীরার প্রাণ, বাংলার গৌরব — আসল স্বাদ, আসল অর্গানিক

ছোটবেলায় গ্রীষ্মকাল মানেই ছিল আমাদের জন্য এক অন্যরকম উৎসব— আমের উৎসব। স্কুল বন্ধ, হাওয়ায় মধুর গন্ধ, আর প্রাণভরে আম খাওয়ার দিনগুলো। প্রতি বছর গ্রীষ্ম এলেই আমরা সবাই মিলে রওনা দিতাম দাদার বাড়ি, সাতক্ষীরার সুনসান গ্রাম্য পথে। গরুর গাড়ি, খাল-বিল পেরিয়ে পৌঁছাতাম সেই অপরূপ সবুজ গ্রামে, যেখানকার দিগন্ত জোড়া আমবাগান আমাদের ছোট্ট জগতের স্বর্গ ছিল।
সকালের সোনালি রোদে চিকচিক করত পাতা আর আমের গুটি। ছোট ছোট পায়ে নরম ঘাসের ওপর হেঁটে যেতাম আমবাগানের গভীরে। দাদু আর বাবা গাছের নিচে দাড়িয়ে হাসিমুখে বলতেন— “চলো, আজ আমরা নিজের হাতে আম পাড়ব।” আমি আর ভাইবোনেরা দল বেঁধে গাছে উঠে, নরম হাতের ছোঁয়ায় একেকটা মধুর হিমসাগর আম পাড়তাম। সেই আমের ত্বকের ওপর চিকচিক করা মধু আর কোমল গন্ধে ভরে যেত চারপাশ। শুধু স্বাদ নয়, সেই মুহূর্তগুলো ছিল আমাদের পরিবারের আনন্দ, হাসি আর মিলনের প্রতীক।
দাদু বলতেন— “এই হিমসাগর আম সাতক্ষীরার অহংকার। এখানে মাটি আর হাওয়ার এমন এক মিষ্টি মিশেল, যেটা অন্য কোথাও মেলে না।“ দুপুরের খাবার শেষে ঠান্ডা জলে ভেজানো হিমসাগর আম কেটে খাওয়ার সুখ-স্মৃতি আজও মন থেকে মুছে যায়নি। একেক কামড়ে মধুরসের মত রস আর সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ত মুখের কোণে কোণে। মা আমাদের শিখিয়েছিলেন কীভাবে আম দিয়ে দই-মিষ্টি, আমের চাটনি আর আমের লাচ্ছি তৈরি করা যায়—সেই সব পদও ছিল আমাদের গ্রীষ্মের দারুণ স্মৃতি।
কালের স্রোতে শহুরে ব্যস্ততায় হারিয়ে গিয়েছিল সেই দিনগুলো, কিন্তু মন কখনোই ভুলতে পারেনি সাতক্ষীরার হিমসাগর আমের আসল স্বাদ। বাজার থেকে কেনা আমগুলোতে কখনোই সেই মধুর গন্ধ আর প্রকৃতির ছোঁয়া পাইনি। ঠিক সেই পুরনো দিনের স্মৃতি আর খাঁটি স্বাদকে আজকের প্রজন্মের কাছে ফিরিয়ে আনতেই Raw Satkhita আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে ১০০% অর্গানিক সাতক্ষীরার হিমসাগর আম — একদম সেই পুরনো দিনের মতই খাঁটি, নির্ভেজাল ও স্বাদে সমৃদ্ধ।
এখানে আমরা কোনো কেমিক্যাল, কার্বাইড, কিংবা সংরক্ষক ব্যবহার করি না। সাতক্ষীরার আমাদের নিজস্ব বাগান এবং স্থানীয় কৃষকদের বাগান হতে এই আম গুলো ঠিক সেভাবেই গাছ থেকে পাড়া হয়, যেমনটা আমরা ছোটবেলায় দাদুর সাথে পাড়তাম। এই আম শুধু ফল নয়, এটি এক টুকরো শৈশব, একটুকরো গ্রামবাংলা, এবং পরিবারের আন্তরিক আবেগের স্মারক।
আজ যখন আপনি Raw Satkhita-র সাতক্ষীরার হিমসাগর আমের কামড় দেবেন, মনে হবে ঠিক ফিরে গেছেন সেই দাদার বাড়ির আমবাগানে, যেখানে প্রকৃতি, পরিবার আর স্বাদের মধুর বন্ধন এক হয়ে থাকত।